রবিউল আলম : ‘এমন একজন শেখ হাসিনা বিশ্বের কোনো জাতি পায়নি। বাঙালি পেয়েও হারালে দুঃখের শেষ থাকবে না’Ñকথাগুলো বলেছেন আলহাজ্ব মো. সাদেক খান এমপি। দীর্ঘসময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গ পেয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোদ্ধা হয়েছেন। কাছ থেকে দেখা। দল কীভাবে চলবে, চালাতে হবে, কীভাবে বিষ খেয়েও বিষ হজম করতে হবে, নবীণ-প্রবীণ রাজনীতিবিদদের সঠিক নির্দশনা কীভাবে দিতে হবে। শেখ হাসিনার কাছে অনেক বিষয় শিখতে হবে। তার মতে, দেশ ও দেশের মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার স্বপ্ন শেখের বেটি ছাড়া আর কারও আবদার হতে পারে না। একটু দম নিতে, ভাবগাম্ভীর্যে। বললেন, রবিউল, যেদিকে তাকাই। উন্নয়নের হিসাব মিলাতে পারি না। বাংলাদেশে। জীন-পরীÑ নাকি আল্লাহপাকের অলৌকিক কোনো কুদরতি শক্তি উন্নয়ন সাধন করছে! বিশ্বের এমন কোনো দেশ নাই, যেই দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো হয়নি। লাউ থেকে কুমড়ো জাতির প্রয়োজনের হিসাব, শেখ হাসিনা রাখেন। বিশ্বের কোনো সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার মতো করে দেশ গঠন করতে পেরেছেন? 

আমি কোনো কথা বলতে পারছিলাম না। সকালে ঘুম থেকে উঠে সাদেক খানের ভাবনার জগতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছি। শেখ হাসিনার জন্য ভোট চাইতে হবে কেন? প্রতিটি বাঙালির দায়িত্ব, কর্তব্য শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্বকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করা। বিশ্ব বাঙালির অহংকারের স্থানটা শেখ হাসিনার জন্য উন্মুক্ত রাখা। এরদোয়ানের জন্য  তুরস্কের জনগণ  বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছে। বাঙালি কি তাঁদের চেয়ে কম বিচক্ষণ? তার দিকে চেয়ে আছি। কিছুটা নীরবতার মাঝে, মনের আয়নায় প্রতিছবিগুলো দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচারের। সজল ও বেকা পলাশ হত্যার মিথ্যে মামলাসহ অগুণিত মামলার আসামী করা হয়েছিলো সাদেক খানকে, দেশ ছেড়ে পালাননি। আরমানিটোলা, ইটের খোলা, কত-না স্থানে আত্মগোপনে থেকেও নেত্রী মুক্তি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে, চার লাখ পঞ্চাশ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন। অবশেষে আইনের কাছে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে কারাগারে। সেই অসহনীয় দিনগুলো চোখের সামনে। শত বাধা-বিপত্তি পরেও বিরোধী মতবাদীদদের জন্য কোনো মিথ্যে মামলা দায়ের করেননি। আওয়ামী লীগ কখনো মানবতাহীন হতে পারেন না। উপরন্তু বাড়ি-ঘর, নারীদের রক্ষায় পাহারায় ছিলাম। 

আমি তাঁকে কিছুটা আশ^স্ত করার চেষ্টা করলাম। আপনার মতো একজন সংসদ সদস্য প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের অভিযোগের অপেক্ষায় থাকেন, সময় দিচ্ছেন। স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির সরকারের অনেক সংসদ সদস্য দেখেছি। এখনো দেখছি। আপনার সামনে আছি বলে নয়। এমন সংসদ সদস্য মোহাম্মদপুরবাসী দেখেনি। দীর্ঘ সময়, পাঁচবারের কমিশনার, বৃহৎ ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মেয়র, আপনাকে অহংকার স্পর্শ করতে পারেনি। আপনার জীবনে পরাজয় বলে কোনো শব্দ নেই, জনগণ কাছে গ্রহণযোগ্যতার জন্য। দলের সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো নির্বাচন অংশগ্রহণ করেননি। আপনাকে আমরা দলীয় শৃঙ্খলার প্রতীক মনে করি। কর্মের মাধ্যমে মানুষের পরিচয়। শেখ হাসিনার বিশাল কর্মযজ্ঞ বাঙালি জাতি মূল্যায়ন করতে ভুল করবে না। পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধযোগ্য নয়। পাতাল থেকে আকাশ জয়, গৃহহীন থেকে মসজিদ মাদ্রাসায় ধর্ম জয়। উনিশ ঘণ্টা অবিরাম শ্রম কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তার ওপর আল্লাহপাকের  এবাদত পরিপূর্ণ করা। শেখ হাসিনার মাঝে আঘাতের, শোকের, হারানোর বেদনা আছে। লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি